eProbash

বাংলাদেশের অভিবাসী নারী শ্রমিকদের সর্বাধিক গন্তব্যস্থল

বাংলাদেশের অভিবাসী নারী শ্রমিকদের সর্বাধিক গন্তব্যস্থল
Written by eProbash

বাংলাদেশের অভিবাসী নারী শ্রমিকদের সর্বাধিক গন্তব্যস্থল কোথায় তা কৌতুহলবশতঃ অনেকেই জানতে চায়। বিশেষ করে যারা নতুন করে প্রবাসে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন।

বাংলাদেশের অর্থনীতিতে অভিবাসী নারী শ্রমিকদের অবদান অনস্বীকার্য। প্রতি বছর লক্ষ লক্ষ নারী বিভিন্ন দেশে কাজ করতে যান এবং তাদের পরিবার ও দেশের জন্য লক্ষ লক্ষ ডলার রেমিট্যান্স পাঠান।

তাদের রেমিট্যান্সের মাধ্যমে দেশের বৈদেশিক মুদ্রা রিজার্ভ বৃদ্ধি হয় এবং দেশের দারিদ্র্যতা বিমোচনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।

বাংলাদেশের অভিবাসী নারী শ্রমিকদের সর্বাধিক গন্তব্যস্থল

বাংলাদেশের নারী শ্রমিকরা বিশ্বের প্রায় সকল দেশেই রয়েছে। নারী শ্রমিকদের সর্বাধিক গন্তব্যস্থল সাধারণত মধ্যপ্রাচ্যের দেশ গুলোতে বেশি।

মধ্যপ্রাচ্য: সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাত, কুয়েত, ওমান, কাতার এবং বাহরাইন হলো মধ্যপ্রাচ্যের অন্যতম জনপ্রিয় গন্তব্যস্থল। এই দেশগুলোতে ঘরোয়া কাজ, হাসপাতাল, রেস্তোরাঁ এবং অন্যান্য সেবাক্ষেত্রে নারীরা কাজ করেন।

মালায়েশিয়া: বাংলাদেশের অভিবাসী নারী শ্রমিকদের অনেকেই মালায়েশিয়ায় ইলেকট্রনিকস, পোশাক এবং টেক্সটাইল শিল্পে ব্যাপকভাবে কাজ করেন।

সিঙ্গাপুর: সিঙ্গাপুরেও বাংলাদেশি নারীরা বিভিন্ন সেবাক্ষেত্রে কাজ করেন।

ইউরোপ: যুক্তরাজ্য, ইতালি এবং গ্রিসের মতো কিছু ইউরোপীয় দেশেও বাংলাদেশী অভিবাসী নারী শ্রমিকরা কাজ করেন।

উত্তর আমেরিকা: মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং কানাডায়ও কিছু বাংলাদেশি অভিবাসী নারী শ্রমিক রয়েছে।

প্রতি বছরই বাংলাদেশি অভিবাসী নারী শ্রমিকরা বিশ্বের বিভিন্ন দেশে কাজ করতে যান। তারমধ্যে মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোতেই বেশি যাওয়া হয়।

অভিবাসী নারী শ্রমিকরা প্রায়শই শোষণ, বৈষম্য এবং নির্যাতনের শিকার হন। তাদেরকে দীর্ঘ সময় কাজ করতে হয়, কম বেতন পায় এবং তাদেরকে অনিরাপদ কর্মপরিবেশের মুখোমুখি হতে হয়। এছাড়াও, তারা পারিবারিক বিচ্ছেদ এবং বিভিন্ন সাংস্কৃতিক অভিযোজন সমস্যার সম্মুখীন হয়।

তবুও তারা নিজ পরিবার ও দেশের কল্যাণে অভিবাসী হয়ে দূর প্রবাসে যাত্রা করেন এবং প্রতি মাসেই তারা বৈদেশিক মুদ্রা রেমিট্যান্স হিসেবে দেশে পাঠন।

শেষ কথা:

বাংলাদেশের অর্থনীতিতে অভিবাসী নারী শ্রমিকদের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। তাদের অধিকার রক্ষা এবং তাদের জীবনযাত্রার মান উন্নত করার জন্য সরকার এবং আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর পক্ষ থেকে আরও বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করা উচিত।

About the author

eProbash

প্রবাসীদের প্রতি অকৃত্রিম হৃদয়ের টান, তাদের প্রতি অফুরন্ত ভালোবাসা ও শ্রদ্ধা রেখে তাদের সেবায় নিজেকে নিয়োজিত করতে পেরে গর্ববোধ করি।

Leave a Comment