eProbash

ইউরোপের সেনজেন ভুক্ত দেশের তালিকা

ইউরোপের সেনজেন ভুক্ত দেশের তালিকা
Written by eProbash

ভ্রমণপ্রিয় মানুষের জন্য ইউরোপ মহাদেশ খুবই জনপ্রিয়। তবে ইউরোপের সেনজেন ভুক্ত দেশগুলোর প্রতি সকলেরই একটি ভিন্ন আকর্ষণ থাকে। মনোরম প্রাকৃতিক দৃশ্য, ঐতিহাসিক স্থাপত্য, সমৃদ্ধ সংস্কৃতি ও অর্থনীতি – সব মিলিয়ে ইউরোপ ভ্রমণ এক নতুন অভিজ্ঞতার জন্ম দেয়।

কিন্তু একাধিক দেশ ভ্রমণের কথা ভাবলেই মাথায় আসে ভিসা ও সীমান্ত পারাপারের ঝামেলা। এসব সমস্যা সমাধানের একমাত্র পথ হলো শেনজেন অঞ্চল। আপনি যদি শেনজেন ভিসা পান, তবে শেনজেন অঞ্চলের অস্তিত্ব আপনার ভ্রমণকে করে তুলবে অনেক সহজ ও উপভোগ্য।

শেনজেন চুক্তি অনুসারে, ইউরোপের ২৭টি দেশ একে অপরের সাথে সীমান্ত নিয়ন্ত্রণ বাতিল করে একটি মুক্ত ভ্রমণ এলাকা তৈরি করেছে। এর মানে হলো, এই অঞ্চলের যেকোনো একটি দেশে শেনজেন ভিসা নিয়ে গেলে আপনি অন্যান্য সকল দেশে নির্দিষ্ট সময়ের জন্য নির্বিঘ্নে ভ্রমণ করতে পারবেন।

ইউরোপের সেনজেন ভুক্ত দেশের তালিকা

ইউরোপ মহাদেশে আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত ৫০টি স্বাধীন রাষ্ট্র রয়েছে। তারমধ্যে সেনজেন ভুক্ত দেশ ২৭ টি এবং বাকিগুলো নন সেনজেন ভুক্ত দেশ। ইউরোপের সেনজেন ভুক্ত দেশের নাম নিচে তুলে ধরা হলো –

  • অস্ট্রিয়া
  • বেলজিয়াম
  • চেক প্রজাতন্ত্র
  • ডেনমার্ক
  • এস্তোনিয়া
  • ফিনল্যান্ড
  • ফ্রান্স
  • জার্মানি
  • গ্রিস
  • হাঙ্গেরি
  • আইসল্যান্ড
  • ইতালি
  • লাতভিয়া
  • লিচেনস্টাইন
  • লিথুয়ানিয়া
  • লাক্সেমবার্গ
  • মাল্টা
  • নেদারল্যান্ডস
  • নরওয়ে
  • পোল্যান্ড
  • পর্তুগাল
  • স্লোভাকিয়া
  • স্লোভেনিয়া
  • স্পেন
  • সুইডেন
  • সুইজারল্যান্ড
  • ক্রোয়েশিয়া (সেনজেন ভুক্ত সর্বশেষ দেশ)।

শেনজেন ভিসা:

শেনজেন অঞ্চলে ভ্রমণের জন্য শেনজেন ভিসা প্রয়োজন। এই ভিসাটি সাধারণত ৩ প্রকারের হয়। ভিসার ধরণ নির্ভর করবে আপনার ভ্রমণের উদ্দেশ্য ও সময়কালের উপর।

শেনজেন অঞ্চলে ভ্রমণের জন্য মূলত তিন ধরণের শেনজেন ভিসা পাওয়া যায়:

১) একক প্রবেশ ভিসা (Single Entry Visa):

এই ভিসা শুধুমাত্র একবার শেনজেন অঞ্চলে প্রবেশের জন্য বৈধ।
স্বল্প সময়ের (যেমন: ছুটি কাটানো, ব্যবসায়িক ভ্রমণ) জন্য ভ্রমণকারীদের জন্য উপযুক্ত।

২) বহুবার প্রবেশ ভিসা (Multiple Entry Visa):

এই ভিসা একাধিকবার শেনজেন অঞ্চলে প্রবেশের জন্য বৈধ।
ভিসার মেয়াদ থাকাকালীন সময়ে যতবার ইচ্ছে শেনজেন অঞ্চলে প্রবেশ ও বের হওয়া যাবে।
দীর্ঘমেয়াদী ভ্রমণকারীদের (যেমন: শিক্ষার্থী, গবেষক, ব্যবসায়ী) জন্য উপযুক্ত।

৩) দীর্ঘমেয়াদী ভিসা (Long-Term Visa):

এই ভিসা ৯০ দিনের বেশি সময় ধরে শেনজেন অঞ্চলে থাকার জন্য বৈধ।
বিশেষ উদ্দেশ্যে (যেমন: কর্মসংস্থান, অধ্যয়ন, পরিবার) ভ্রমণকারীদের জন্য।

শেনজেন ভিসার জন্য আবেদন:

শেনজেন ভিসার জন্য আপনাকে আপনার নিকটতম ইউরোপীয় দূতাবাস বা কনস্যুলেটে আবেদন করতে হবে। আবেদনের জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্রের মধ্যে রয়েছে পাসপোর্ট, ভিসা ফি, ভ্রমণ বীমা, হোটেল বুকিং, ফ্লাইট টিকিট, আর্থিক ডকুমেন্ট ইত্যাদি।

শেষ কথা:

ইউরোপের সেনজেন ভুক্ত দেশের যে কোনো একটিতে আপনি যদি সেনজেন ভিসা নিয়ে যেতে পারেন, তবে অন্যান্য ২৬ টি দেশেও ভিসা ছাড়াই প্রবেশ করতে পারবেন। ভিসাটি সাথে থাকলে সীমান্ত পারাপারের কোনো ঝামেলা নেই।

ইউরোপের সেনজেন ভুক্ত দেশের নামগুলো মুখস্ত করে নিতে পারেন, এতে করে ভ্রমণের পূর্বেই আপনি ২৭ টি দেশের মধ্যে কোন কোন দেশে ভ্রমণ করবেন তা নির্ধারণ করে নিতে পারবেন, এর ফলে আপনার ভ্রমণ হবে অনেক সহজ ও উপভোগ্য।

About the author

eProbash

প্রবাসীদের প্রতি অকৃত্রিম হৃদয়ের টান, তাদের প্রতি অফুরন্ত ভালোবাসা ও শ্রদ্ধা রেখে তাদের সেবায় নিজেকে নিয়োজিত করতে পেরে গর্ববোধ করি।

Leave a Comment