অভিবাসী এবং শরণার্থী – এই দুটি শব্দ আমরা প্রায়শই শুনে থাকি, কিন্তু আমরা বেশিরভাগ মানুষই জানিনা অভিবাসী ও শরণার্থীদের মধ্যে পার্থক্য কি? এজন্য অনেকেই মনে করেন যে এই শব্দ দুটি একই, কিন্তু আসলে তাদের মধ্যে অনেক পার্থক্য রয়েছে।
অভিবাসী ও প্রবাসীর মধ্যকার পার্থক্য এবং শরণার্থী ও অভিবাসীর পার্থক্য প্রায় একই। বিষয়টি আপনাদের সামনে সুস্পষ্ট ভাষায় উল্লেখ করা হলো।
অভিবাসী কাকে বলে?
যে ব্যক্তি স্বেচ্ছায় নিজ দেশ ছেড়ে অন্য দেশে বসবাসের উদ্দেশ্যে যান, তাকেই অভিবাসী বলা হয়। অভিবাসনের কারণ হতে পারে বিদেশে ভালো একটি চাকরি পাওয়া, উন্নত জীবনযাপন করা, ডিগ্রি অর্জনের জন্য পড়াশোনা করতে যাওয়া অথবা কেবল নতুন একটি অভিজ্ঞতা অর্জন।
শরণার্থী কাকে বলে?
যুদ্ধ, নিপীড়ন, প্রাকৃতিক দুর্যোগ, বা অন্যান্য বিপজ্জনক পরিস্থিতির কারণে তাদের নিজ দেশ ছেড়ে বাধ্য হয়ে অন্য দেশে আশ্রয় নেওয়া ব্যক্তিদের শরণার্থী বলা হয়।
পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত শরণার্থীদের নিজ দেশে ফিরে যাওয়া নিরাপদ নয় বলে মনে করা হয়। এজন্য তাদের আন্তর্জাতিক আইনের অধীনে বিশেষ সুরক্ষা ও সহায়তা পাওয়ার অধিকার রয়েছে।
উদাহরণ:
১. কোনো এক ব্যক্তি স্বেচ্ছায় নিজ দেশ ছেড়ে ভালো চাকরির সুযোগের জন্য যুক্তরাষ্ট্রে চলে যান, তিনি একজন অভিবাসী।
২. অন্যদিকে কোনো একজন ব্যক্তি যিনি যুদ্ধবিধ্বস্ত সিরিয়ায় নির্যাতনের শিকার হয়ে তুরস্কে পালিয়ে যান, তিনি একজন শরণার্থী।
শেষ কথা:
অভিবাসী ও শরণার্থীদের মধ্যে পার্থক্য থাকলেও উভয়ই কোনো এক কারণে নিজ দেশ ত্যাগ করে নতুন দেশে যাত্রা করেন। অভিবাসী এবং শরণার্থী উভয়ই আমাদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ।
তাদের প্রতি আমাদের সহানুভূতি ও সম্মানের সহিত আচরণ করা উচিত। তাদের অধিকার রক্ষা করা এবং তাদের নতুন দেশে স্থিতিশীল হতে সহায়তা করা আমাদের মানবিক দায়িত্ব।